জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি( Phulki )। ধারাবাহিকটিতে উড়ালপুল বিপর্যয়ে রুদ্ররূপ সান্যালের যোগসূত্রের উপর ফুলকি ও অংশুমানরা গভীরভাবে সন্দেহ করছেন। যদিও তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো বৈধ প্রমাণ নেই। এই পরিস্থিতিতেও, ফুলকি এই অন্যায়ের বিচারের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং যেকোনোভাবে সত্যকে প্রকাশ করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে।
ফুলকি আজকের পর্ব ১৮ সেপ্টেম্বর/phulki today full episode 18 September-
ধারাবাহিকের শুরুতেই আজ সকালে ফুলকি লাবুর বাড়িতে এসে জিলিপি, সিঙ্গারা নিয়ে একটি প্যাকেট দিয়ে যায়। সেই প্যাকেটের মধ্যে চুপিসারে ফোনের কভারটাও রেখে যায়। লাবু খুব ভয় পেয়ে যায়। ফুলকি তাকে সাহস দিয়ে বলে, “দিদিভাই, ভয় পেলে হবে না। তোমাকে সাহসের সাথে সবকিছু করতে হবে, যেমন আমি করছি।” রুদ্র ফুলকিকে দেখে অবাক হয়ে যায় এবং জিজ্ঞেস করে, “কী ব্যাপার ফুলকি, সকাল সকাল তুমি এখানে?”
রুদ্র তো এইসব কথা শুনে পুরো অবাক হয়ে যায় আর বলে, আমার জন্য এনেছো? কিন্তু আমি তো জানতাম তুমি আমাকে একদমই পছন্দ করো না? ফুলকি বলে, না না এটা একদমই নয়, আমি আপনার সাথে মাঝেমধ্যে একটু খুনসুটি করি এই যা। এই বলে ফুলকি সেখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে ফুলকি চলে যাওয়ার পরে ঈশিতা সেখানে আসে, লাবু ঈশিতা কী খাবে জিজ্ঞেস করলে ঈশিতা বলে কফি নিয়ে এসো! কিন্তু কফি দিতে গিয়ে লাবু কফিটা পুরো ঈশিতার গায়ে ঢেলে দেয়।
অংশুমানের নির্দেশ মতো, ফুলকি ঈশিতার মোবাইলটি তার দখলে নিয়ে রুদ্রের সাথে যোগাযোগ করার জন্য প্রস্তুত হল। আগে থেকেই সাজানো এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, সে রুদ্রকে ফোন করার জন্য কয়েকবার গভীর শ্বাস নিল।
এরপর ঈশিতার গলা করে জিজ্ঞেস করে, অংশুমান দা তো সব জায়গায় দেবদাস মাইতিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে! যদি দেবদাস মাইতিকে তারা খুঁজে পেয়ে যায়! তাহলে কী হবে? আমার খুব ভয় করছে! রুদ্র তখন বলে এত সহজ নয়, গোলাপবাগান থেকে দেবদাস মাইতির খোঁজ পাওয়া এত সহজ নয়। এইভাবে রুদ্রর পেট থেকে আসল কথা বার করে নিল ফুলকিরা। পারমিতা সত্যি অবাক হয়ে গেল এটা শুনে যে এত বড় একটা ঘটনার মধ্যে রুদ্ররূপ সান্যাল আছে তার মধ্যে এতোটুকু হলেও বিশ্বাস ছিল রুদ্র এমন একটা অন্যায় করবে না।
এরপর ফুলকি ও রোহিতরা দেবদাস মাইতিকে নিয়ে আসতে রওনা হল। গাড়িতে তমাল অপেক্ষা করছিল। অন্যদিকে, অংশুমান রুদ্রর জনসভার স্থানে গিয়েছিল। লাবু, পারমিতা, ধানুসহ অন্য সবাই সেখানে উপস্থিত ছিল। অংশুমান জানত, ফুলকি ঠিক সময়ে দেবদাস মাইতিকে নিয়ে আসবে। কিন্তু ফুলকি ও রোহিতের পিছনে গুন্ডারা পড়ে গেলে ফুলকি তাদেরকে মারধর করে ধরাশায়ী করে দিল।