জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকিতে পায়েলকে বাঁচাতে গিয়ে পিয়াল ব্রিজ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, ফুলকি ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণ খুঁজতে ব্যস্ত। রুদ্র ঈশিতাকে ফুলকিদের খবর নিতে পাঠায়।
ফুলকি আজকের পর্ব ১৬ সেপ্টেম্বর/phulki today full episode 16 September-
হাসপাতালের করিডরে: ফুলকি দাঁড়িয়ে লাবুর সাথে গল্প করছিল। লাবু একটু চিন্তিত মুখে বলল, “রুদ্র আগের মতো আর নেই। আমি বুঝতে পারছি সে অনেক বদলে গেছে। তবে আমার বলার কিছু হবে না, তাই চুপ করে থাকি।” ঠিক তখন অংশুমান এসে বলল, “আমি শুনেছি যে দেবদাস মাইতি এখানেই আছে। সে নবাবগঞ্জ ছেড়ে কোথাও যায়নি।” ফুলকি লাবুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, “দিদিভাই, তুমি কি জানো জামাইবাবু বেশিরভাগ সময় কোথায় মিটিং করে? আমি কয়েকবার লালকুঠি নামটা শুনেছি।” লাবু উত্তরে বলল, “আমি ঠিক জানি না, তবে লালকুঠি নামটা কয়েকবার শুনেছি।
হাসপাতালের করিডরে দাঁড়িয়ে ফুলকি লাবুর দিকে তাকিয়ে আঁখি মিটিয়ে বলল, “লাবুদা, রুদ্রদা ইদানিং খুব বদলে গেছে, তাই না?” লাবু নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “সত্যিই তো, কিন্তু আমার কিছু করার নেই।”
কিছুক্ষণ পর অংশুমান এসে হাজির হলো। তাদের সবার মনে একই প্রশ্ন, দেবদাস মাইতি কোথায়? সবাই মিলে লালকুঠিতে গেল। কিন্তু সেখানে তাকে খুঁজে পাওয়া গেল না। পরে জানা গেল, ঈশিতা সবকিছু রুদ্রকে বলে দিয়েছে। সুযোগ পেয়ে রুদ্র দেবদাস মাইটিকে সরিয়ে ফেলেছে।
ফুলকি আবার লাবুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, “দিদিভাই, তুমি ভালো করে মনে করো, লালকুঠি ছাড়া আর কোন জায়গা আছে যেখানে মাঝে মধ্যেই নানান রকম কাজে জামাইবাবু যায়?” লাবু একটু চিন্তা করে বলল, “তুষার মাইতি বলে একজন আছে, তার বাড়িতে গিয়ে অনেকবার মিটিং করে রুদ্র।”
আরও পড়ুন : রুদ্রকে ধরার জন্য ফুলকির প্রতিটি পদক্ষেপই যেন একটা রহস্যের খেলা
সবাই মিলে তুষার মাইতির বাড়ি ঘিরে ফেললেও দেবদাস মাইতির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেল না। ফুলকি হতাশ হয়ে বলল, “আমরা দেবদাস মাইতিকে খুঁজছি, এই খবর হয়তো আগেই জামাইবাবুকে দেওয়া হয়েছে। তাই সে লুকিয়ে থাকতে পারে।” লাবুও তার মতই ভাবতে লাগল। কিছুক্ষণ পর ফুলকি লাবুর বাড়িতে জল খেতে গেল। লাবু বাড়িতে ঢুকতেই রুদ্র তাকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কোথায় ছিলে এতক্ষণ?”
লাবু তখন বলল, “তুমি আমাকে সব জায়গায় যেতে আসতে জিজ্ঞেস করো, কিন্তু আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে এভাবে জবাব দাও কেন?” এই সময় রিকি আর হৈমন্তী এলেন। হৈমন্তী বলল, “তুমি জামাইবাবুর সঙ্গে এভাবে কথা বলছ কেন?” লাবু উত্তর দিল, “মা, আপনি কিছু দেখতে পান না? দয়া করে আমাকে আর কিছু না বলুন।” এরপর হৈমন্তী বলল, “মেজ বউ আমার সংসার নষ্ট করেছে, এবার তোমার সংসার নষ্ট করতে চাচ্ছে।”
লাবু ফুলকিকে আশ্বাস দিতে দিতে বলল, “মায়ের কথা মনে করিস না।” পাশাপাশি, হৈমন্তীর দিকে তাকিয়ে ফুলকি ক্ষোভে বলল, “মা, যখন রুদ্র আমার উপর হাত তুলেছিল তখন তুমিও আমার পাশে ছিলে না।” রোহিত, ফুলকির সম্মানহানির প্রতিবাদে রুদ্রকে জিজ্ঞেস করল, “ওই ব্রিজটা কেন ভেঙে পড়লো? তুমি তো উদ্বোধন করেছিলে?” রুদ্র অস্বীকার করে বলল, “আমি কি করে জানব? আমি তো সেটা তৈরি করিনি।” এই ঘটনার জেরে রুদ্র একটি প্রেস কনফারেন্স ডাকল। সেখানে রোহিত, ফুলকি এবং লাবুও উপস্থিত ছিল। অন্যদিকে, ঈশিতা মনে মনে ভাবছিল, “কোনোভাবেই ফুলকি জানতে পারবে না যে রুদ্র দা টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেই ব্রিজটা ভেঙে পড়েছে।”