জি বাংলার ( Zee Bangla) পর্দায় প্রচারিত ফুলকি ধারাবাহিক ধীরে ধীরে টিআরপি তালিকায় শীর্ষে উঠে আসছে। ফুলকি এবং রোহিতের রোমান্টিক জুটি দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। নায়িকা দিব্যানি মন্ডলের প্রথম ধারাবাহিক হলেও তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে উড়ালপুর ভেঙে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় কাণ্ড দেখানো হচ্ছে। কিভাবে রুদ্ররূপ সান্যাল অর্থাৎ রোহিতের জামাইবাবু চক্রান্ত করে টাকা হাতানোর ধান্দায় কমজুরি উড়ালপুল বানিয়েছে এবং তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ সেই ঘটনাই দেখানো হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ জানেন না যে এই পুরো ঘটনার পেছনে রয়েছে নেতা রুদ্ররূপ সান্যাল। পুরোটাই যে তার চক্রান্ত তার মদতে এই যে পুরো ঘটনাটা ঘটনা হয়েছে তা প্রত্যেকেরই অজানা। আসলে রুদ্ররূপ নিজেই বুঝতে পারিনি যে এমন একটা ঘটনা ঘটতে পারে কোনদিন।
ফুলকিদের ঘরের আঙিনায় সত্যের রক্তাক্ত ছবি উঠে এসেছে। নিজের ভাই পিয়ালের উপর হওয়া অত্যাচারের ক্ষত সারাতে ফুলকি এবার সিংহের মতো উঠে দাঁড়িয়েছে। রুদ্ররূপের মুখোশ খুলে ফেলার জন্য সে এবার সবাইকে সাথে নিয়েছে। স্ত্রীর সাহায্যে প্রমাণের জাল বুনছে সে। দেবদাস মাইতি নামে একজন ব্যক্তিকে সামনে রেখে সাজানো এই নাটকের পর্দা ফাঁস করার জন্য ফুলকি এবার উড়ালপুরের দিকে তাকিয়ে আছে।
আজকের পর্বে দেখানো হবে যে ফুলকি এবং রোহিত মিলে খুঁজে বার করছে দেবদাস মাইতি কে। রুদ্ররূপ গোলাপ বাগানের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে দেবদাস মাইতিকে। সেই খবর জানতে পেরেই ফুলকি এবং রোহিত সেখানে ছুটে যায় এবং সেখান থেকে তুলে দেবদাস মাইতিকে। এরপর রুদ্র যেখানে জনসভা করছিল সেখানে প্রেস, মিডিয়া এবং পুলিশের সামনে নিয়ে আসে দেবদাস মাইতিকে। সেখানে সব সত্যি বলতে থাকে ফুলকি।
আরও পড়ুন : ফুলকির ডুব চাল ঘুরিয়ে দিল রুদ্র! শেষ মেশ হার ফুলকির?
ফুলকির আগামী পর্ব
গোলাপ বাগানের বাড়িতে রুদ্রের অন্ধকার রহস্যের জাল বিস্তারিত হচ্ছে। সে গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করে সব প্রমাণ নষ্ট করার ফন্দি আঁটছে। কিন্তু ফুলকির সন্দেহের বাতি জ্বলে উঠেছে। সে রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে যাবে। এক মুহূর্তের তীব্র সংগ্রামে রুদ্রের কুৎসিত চেহারা সামনে আসবে। দেখুন, ফুলকি কি রুদ্রকে হাতেনাতে ধরতে পারবে এবং তার কুমন্ত্রণের পর্দা ফাঁস করতে পারবে?