দর্শকদের পছন্দের তালিকায় শুরু থেকেই শীর্ষে রয়েছে ফুলকি ধারাবাহিক। দিব্যানি মন্ডল এবং অভিষেক বোসের অভিনীত এই ধারাবাহিকটি একটি নতুন জুটি দিয়ে দর্শকদের মনে ভালোবাসা জাগিয়ে তুলেছে। অভিষেক বোস যদিও দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পে যুক্ত, তবে দিব্যানির জন্য ফুলকিই প্রথম ধারাবাহিক। প্রথম কাজেই এত সাফল্য পেয়ে তিনি দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
সম্প্রতি প্রচারিত ধারাবাহিকে উড়ালপুর ধসের চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি রোহিতের ভাই পিয়ালের জীবনে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে এল। পুরো ঘটনার পেছনে রুদ্রের নাম জড়িয়ে পড়লে ফুলকি তার উপর সন্দেহ করতে শুরু করে। একদিন মা কালীর মন্দির থেকে ফিরার পথে ফুলকি দেখতে পায় রুদ্র একজনকে ঘুষ দিচ্ছে এবং শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ফুলকি আজকের পর্ব ১৪ সেপ্টেম্বর (Phulki Today Episode 14 September)
আজকের পর্বে ফুলকি তার সকল আবিষ্কারের কথা রোহিত এবং অংশুর কাছে ফোনে জানিয়ে তাদের দ্রুত সেখানে আসার জন্য অনুরোধ করে। তাদের আগমনে ফুলকি নিজের চোখে যা যা দেখেছে, সব বিস্তারিতভাবে তাদের জানায়। তবে, কোনো প্রমাণ ছাড়া রুদ্রের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়, এই বাস্তবতা সকলের সামনে স্পষ্ট। তাই তারা তিনজনে মিলে প্রমাণ সংগ্রহের কাজে মনোনিবেশ করে। ফুলকি মনে মনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় যে এবার সে রুদ্রের সত্যিকারের চেহারা সকলের সামনে উন্মোচন করবে।
আরও পড়ুন : নিজের অপরাধের আঁচল ঢাকার ব্যর্থ প্রয়াসে রুদ্র ফুলকির জালে আটকে পড়ল
অংশুর পরামর্শ অনুযায়ী, তিনজন মিলে নবাবগঞ্জের মিউনিসিপালিটি অফিসে গিয়ে পৌঁছাল। সেখানে অংশুর একজন পরিচিত ব্যক্তির সহায়তায় তারা ধাপে ধাপে সব তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করল। তদন্তের শেষে জানা গেল, এই সমস্ত অনিয়মের পিছনে দেবদাস মাইতি নামে এক ব্যক্তিই মূল হোতা। এই তথ্যের ভিত্তিতে দেবদাস মাইতির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হল।
দেবদাস বাবু রুদ্রকে একান্তে ফোন করে জানালেন যে, রুদ্র যতই অর্থ প্রদান করুন না কেন, তিনি ফাঁসের মামলা থেকে দেবদাস বাবুকে মুক্ত করে দেবেন না। এই সংবাদ পেয়ে অংশু ফুলকি ও রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে দেবদাস বাবুর বাড়িতে পৌঁছাল। কিন্তু ততক্ষণে দেবদাস বাবু সবকিছু সম্পর্কে অবগত হয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ আসার আগেই তিনি বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ দেবদাস বাবুকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। এই সময় রোহিত, ফুলকির দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী, দেবদাস বাবুর একটি ছবি গোপনে তুলে নেয় যাতে পরবর্তী তদন্তে তা সহায়ক হতে পারে।
পিয়ালের শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছিল। তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছিল। হৈমন্তীও পিয়ালের সুস্থতা কামনা করে পুজো দিয়েছিল। ফুলকিরা তাদের দায়িত্ব পালন শেষ করে পিয়ালকে দেখতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। তারা মনে মনে স্থির করেছিল, দেবদাস মাইতিকে ধরেই তারা পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটন করবে।