ডু ইউ লাইক ইট? পুরুষ নার্সের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! সন্দীপের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত

আরজি কর কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নতুন এক অভিযোগে তোলপাড়। এক নার্সিং ছাত্রের যৌন নিগ্রহের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছিল।

সিবিআই হেফাজতে থাকা সন্দীপ ঘোষের অন্ধকার দিক আবারও সামনে এল। নার্সিং ছাত্রের যৌন নিগ্রহের ঘটনাটি তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসা একাধিক অভিযোগের মধ্যে একটি।

সন্দীপ ঘোষের যৌন হেনস্থার অভিযোগে হংকংয়ে তোলপাড়। ২০১৭ সালে হংকংয়ের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে এক পুরুষ নার্সিং ছাত্রের অভিযোগ অনুযায়ী, সন্দীপ তাঁকে জামাকাপড় বদলাতে গিয়ে তিনবার আলতো চাপড় মারেন এবং গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার পর কাউলুন আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

Do you like it? প্রশ্ন করেন সন্দীপ!

এক নার্সের করা যৌন হয়রানির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আদালতে নার্স জানিয়েছেন, সন্দীপ তাঁর শারীরিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছিলেন।

সন্দীপের আইনজীবী দাবি করেছেন যে নার্সের অভিযোগের পিছনে অন্য উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে।

সন্দীপ জানান, তাঁর শোল্ডার ডিসলোকেশন হয়েছিল। সেটা ঠিক করার জন্য ওই নার্সিং পড়ুয়ার (Nursing Student) সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি।অভিযোগকারীর দৃষ্টিকোণ: অভিযোগকারী দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে সন্দীপ তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিলেন এবং “ডু ইউ লাইক ইট?” এমন একটি প্রশ্ন করেছিলেন যা তাঁর প্রতি অপমানজনক ছিল।

সন্দীপের দৃষ্টিকোণ: সন্দীপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তিনি কেবল “ডু ইট লাইক দিস” বলেছিলেন, যা কোনো যৌন ইঙ্গিত ছিল না।

আরও পড়ুন : এক মাস হয়ে গেছে, আরও কতদিন এই ‘পুজোতে ফিরে আসুন, আর জি কর কাণ্ডের মাঝেই আর্জি মমতার

তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টিকোণ: এই ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যেতে পারে যে, সত্যি কী ছিল তা নির্ধারণ করার জন্য আরও তদন্তের প্রয়োজন। দুই পক্ষের দাবিই পরস্পরবিরোধী।

অভিযুক্ত ব্যক্তি অপ্রত্যাশিতভাবে অন্য জায়গায় হাত দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করছেন যে, তার এই কাজের পেছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, বরং এটি একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল। এই ঘটনার সময়, সন্দীপকে যিনি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করছিলেন, তিনিও আদালতে উপস্থিত হয়ে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

ডাক্তার উইলসন লি, যিনি সন্দীপ ঘোষকে পরীক্ষা করেছিলেন, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিলের এমআরআই রিপোর্টে সন্দীপের কাঁধের হাড় খসে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল ৮ এপ্রিল, অর্থাৎ এমআরআই করার ১৬ দিন আগে। আরজি কর কাণ্ডের পর এই পুরনো ঘটনা আবার নতুন করে চর্চায় এসেছে।

Leave a Comment