জি বাংলার ( Zee Bangla ) ফুলকিতে ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় পিয়াল গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। অন্যদিকে, শানু মাস্টারমশাইকে বৌদির সঙ্গে বিষয়টি মিটমাট করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রুদ্র তার সব কুকীর্তি ধরা পড়ার আগেই দেবদাস মাইতিকে কোথাও লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
ফুলকি আজকের পর্ব ১৫ সেপ্টেম্বর (Phulki today full episode 15 September)
শুরুতেই, জেঠিমনি মাস্টারমশাইয়ের উপর প্রচণ্ড ক্ষোভ অনুভব করছিলেন। তিনি মনে করতেন, মাস্টারমশাই তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখাতেন না। এই কারণে তিনি মাস্টারমশাইয়ের উপর খুব রেগে গিয়েছিলেন।
শানু জেঠিমনিকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সে বলেছিল, “বৌদি, তুমি এখন চলে যাবে, কিছু বলো তো।”
মাস্টারমশাই যখন এগিয়ে এলেন, জেঠিমনি তাঁকে স্পষ্ট করে বলে দিলেন, “দেখো মাস্টারমশাই, আমি আর কিছুদিনের মধ্যে লাবুর বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। যে বাড়িতে আমার কোনো মূল্য নেই, যে বাড়িতে আমার কথা কারো কানে যায় না, সেই বাড়িতে আমি আর থাকতে চাই না।” এই কথা বলেই তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন।
মাস্টারমশাই শানুর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “দেখলি তোর বৌদি কতটা অতিরঞ্জিত। সে সবকিছুতেই বড় বড় কথা বলে। এই জন্যই আমি তার সাথে অনেক কথা বলতে চাই না।”
অন্যদিকে, ঈশিতা রুদ্রকে ফোন করে জানায় যে দেবদাস মাইতি তার অফিসে এসেছে। এই খবর শুনে ফুলকি বুঝতে পারে রুদ্র কোনো একটা বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। পরে দেবদাসের সাথে কথা বলে ঈশিতা জানতে পারে রুদ্র তাকে একটি মামলার বিষয়ে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। দেবদাসের কথা থেকে বোঝা যায় রুদ্র চেয়েছিল যে মামলাটির তদন্ত খুব বেশি গভীরে না যায়।
আরও পড়ুন : ফুলকির তদন্তে এমন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, দেখুন আজকের পর্ব
দেবদাস মাইতি চিন্তিত হয়ে বললেন, “এই সব কিছুতে আমিই ধরা পড়ছি। যদি ধরা পড়ি, তাহলে কী হবে?” ঈশিতা তাকে শান্ত করতে বলল, “আপনি একটু ধৈর্য ধরুন। রুদ্রদা আপনাকে কথা দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই সেই কথা রাখবেন।” কিন্তু দেবদাস মাইতি আরও বেশি চিন্তিত হয়ে বললেন, “যদি পুলিশ এসে যায়, তাহলে আমি কীভাবে ধৈর্য ধরব?” ঈশিতা আবারও তাকে আশ্বস্ত করতে বলল, “পুলিশ আপনার কাছে আসবে না।
তার মধ্যেই রুদ্র দা’র আকস্মিক আগমনে বাড়ির পরিবেশটা একটু উত্তেজিত হয়ে উঠল। দেবদাস বাবুকে দেখে রুদ্র একটা অর্থবহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ‘আপনি কি চান, টাকা নাকি আমার রক্ষা? একটা চয়ন করুন।’ দেবদাস বাবু একটু ভেবে প্রটেকশন চাইল। রুদ্র তৎক্ষণাত তেওয়ারিকে ডেকে গোলাপবাগানের কথা বলল। অন্যদিকে, পিয়ালের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে এবং পায়েল তার বন্ধুকে দেখতে এসেছে।
রোহিত ও তার বন্ধুরা যখন পায়েলের সাথে আলাপ করছিল, তখন পায়েল তাদের জানাল যে তার মা অনেক ছোটবেলায় মারা গেছেন। তার বাবা ব্যবসার কাজে সারা বছর বাইরে থাকেন। ফলে পায়েলকে তার মামার বাড়িতে কাঁথিতে থাকতে হয়। সে একা একা, কোনও সমস্যা হলে তার পরিবারের কেউ তার পাশে দাঁড়ায় না।
রুদ্র ঈশিতাকে পরিবারের সবার দায়িত্ব দিয়েছিল। ঈশিতার হাসপাতালে আসা ফুলকিকে সন্দেহে ফেলে দিল। সে বুঝতে পেরে গেল যে ঈশিতা আসলে তার উপর নজর রাখতে এসেছে। অন্যদিকে, ফুলকি লাবুকে রুদ্রের সন্দেহজনক কথাগুলি জানাল। রুদ্রকে কাউকে টাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলতে শুনে রোহিত বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ল। সে বলল, “রুদ্রের আচরণ এখন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে, সে আর আগের মতো নেই।