জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ফুলকি ( Phulki )। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে ফুলকি পায়েলের বাবার অনুমতি ছাড়াই পিয়ালের সাথে পায়েলের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেষ মুহূর্তে জানতে পেরেছে যে পায়েলের বাবা অজয় বাবু, জেঠুমনির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। এই বিষয়টি কতটা জটিল হতে পারে, তা বুঝতে পেরেও ফুলকি পিয়ালকে আশ্বাস দিয়েছে যে সে সব কিছু সামলে নেবে।
ফুলকি আজকের পর্ব ২৬ সেপ্টেম্বর (Phulki Today Episode 26 September)
আজকের দিনটি পায়েলের পরিবারের জন্য খুবই দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে উঠল। পায়েলের বাবা, অজয়বাবু রায় চৌধুরী, হঠাৎ করে বাড়িতে এসে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুললেন। তিনি জোর দিয়ে বলতে লাগলেন যে, তারা তাঁর মেয়েকে অন্যত্র থেকে তুলে এনে বিয়ে দিয়েছে, যা তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবেন না। তিনি আরও হুমকি দিলেন যে, তিনি এই বিয়ের বিরোধিতা করবেন এবং বরকে যথাযথ শাসন করবেন। রুদ্র তখন হৈমন্তীর চোখে ভালো সাজার জন্য জেঠুমনির হয়ে অজয় বাবুর উদ্দেশ্যে বেশ কড়া কথা বলতে থাকে। জেঠুমনির হয়ে অজয় বাবুকে রুদ্র বলে, আপনি যা খুশি তাই বলতে পারেন না, আপনার মেয়ে নিজের ইচ্ছায় এই বিয়ে করেছে তাকে কেউ তুলে আনেনি।
এরপর তিনটি গুন্ডা যখন পিয়ালকে মারতে যাবে তখন পায়েল গুন্ডাদের থামিয়ে দেয় আর বলে বাবা ও আমার বর হয় আর এই বাড়িটা আমার শ্বশুরবাড়ি। তুমি আমার বরের গায়ে হাত তুলতে পারো না আর আমার শ্বশুর বাড়িতে এসে এইভাবে খারাপ ব্যবহার করতে পারো না। অন্যদিকে হৈমন্তী কাবেরীকে বলে, দেখ কাবেরী বারবার তোকে বলেছিলাম তোর ছেলেকে ফুলকির সাথে বেশি মিশতে দিস না দেখলি তো আজ কী হলো!? অন্যদিকে পায়েল তার বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে রায় চৌধুরী পরিবার এবং পিয়ালের হয়ে কথা বলায় জেঠুমনি বুঝতে পারে এই মেয়েটা অনেক ভালো।
আরও পড়ুন : পুজোর আগ মুহূর্তে রাজ্য সরকারের ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা
পুলিশ অফিসার জানালেন যে, উভয় পক্ষই আইনসম্মত বয়সের হওয়ায় তাদের বিবাহ বৈধ। যেহেতু তারা নিজের ইচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, তাই কেউ তাদের এই সিদ্ধান্তে বাধা দিতে পারবেন না। এরপর পায়েল বলে, মা চলে যাওয়ার পর থেকে বাবা এক মুহূর্তের জন্য আমাকে বুঝতে চায় নি, অনেক কষ্টে আমি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। তাই বাবা যখন জোর করে আমার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল তখন আর কোনও উপায় নেই দেখে নিজের পরিচিত বন্ধুকেই আমি বিয়ে করেছি। এই কথা শুনে হৈমন্তী চুপ করে যায় আর জেঠুমনি বলে তুমি চিন্তা করো না আমরা সবাই তোমার পাশে আছি।
বাবার সাথে তর্কের পর পায়েল নিজেকে একাকী মনে করছিল। ফুলকি তাকে ভুলিয়ে দিতে চেয়ে বলে, “আজ রাতে আমরা একসাথে অনেক মজা করব।” কিন্তু তমালের কথা শুনে পায়েলের মনে বাবার প্রতি অপরাধবোধ জাগে। কতটুকু বয়স তোর? পিয়াল তখন বলে, এই শোন আমার বয়স যাই হোক না কেন? তাতে আনন্দ হইহুল্লোড় করায় কি অসুবিধা? ওদিকে ফুলকির মনে পড়ে যায় রোহিত তাকে মারতে গিয়েছিল তাই সে ব্যাগ গোছাতে থাকে। রোহিত বলে এসব কী হচ্ছে? তখন ফুলকি বলে আমি আর আজ থেকে এই ঘরে থাকব না অন্য ঘরে থাকব। রোহিত বলে ফুলকি আমার কিন্তু মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ফুলকি কারোর কোনও কথা শোনে না। অজয় বাবুরা এখন থেমে থাকলেও, তারা আবার কিছু একটা করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু এবার রায় চৌধুরী বাড়ির ওপর বড়সড় বিপদ আসতে পারে।