জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি ( Phulki )। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় বাবা যখন পায়েলের বিয়ে ঠিক করতে চাইলেন, তখন সে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। একা একা দূরে চলে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু পিয়ালের অনুরোধে সে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। অন্যদিকে, সব কিছু জেনেও ফুলকি তাদের বিয়ে দিয়েছে। পায়েলের বাবা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে খবর দিয়ে পায়েলকে খুঁজতে শুরু করেছে।
ফুলকি আজকের পর্ব ২৫ সেপ্টেম্বর (phulki today full episode 25 September)
পুলিশের নিরন্তর খোঁজা সত্ত্বেও পিয়াল, পায়েল এবং ফুলকি খড়ের মধ্যে নিরাপদে লুকিয়ে ছিল। এই ঘটনায় ফুলকির প্রতি পিয়ালের বিশ্বাসের গভীরতা আরও বেড়ে গেল। সে মনে করে ফুলকি যেমন তাদের এই বিপদ থেকে বাঁচিয়ে নিয়েছে, তেমনি বাড়িতে গিয়েও সব কিছু সামলে নিতে পারবে। অন্যদিকে, ফুলকি মনে মনে ভাবছে, বাড়ি গিয়ে জেঠুমনিকে সত্যিটা বুঝাতে হবে। সে আশাবাদী যে জেঠুমনি সবাইকে বোঝাতে পারবে।
ওদিকে কাবেরি ও কাকুমনি পিয়ালের জন্য চিন্তা করছে কারণ পিয়াল ফোন ধরছে না। তখন রোহিত চলে আসে এবং রোহিত,তমাল এসে বলে ফুলকির স্টোরে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে সেখানে যায়নি এমনকি ফোনও ধরছে না। বাড়িতে ধানু বলে এদিকে তো পিয়ালেরও কোনও খোঁজ নেই। ফুলকি আর পিয়ালের ফোন একসাথে লাগছে না দেখে রোহিত ভাবতে থাকে রুদ্র আবার কোনও ক্ষতি করল না তো! রোহিত ফুলকির খোঁজ করতে বাইরে বেরোতে যায়।
আরও পড়ুন : সুধার সত্যের জয়! হারানো হার ফিরিয়ে আনল, জমজমাট পর্ব ‘শুভ বিবাহ’
কিন্তু রোহিত বের হওয়ার আগেই ফুলকি এসে কাবেরিকে ডাকল, ‘কাকিমনি, বরণ ডালা নিয়ে আয়, নতুন বউকে বরণ করতে হবে!’ বাড়ির সবাই অবাক হয়ে গেল, নতুন বউ কে? পরে পিয়াল পায়েলকে বিয়ে করে বাড়ি ঢুকলেই কাকিমনি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেল। পিয়াল তার মাকে ডাকতে ছুটে এল, কিন্তু তার বাবা তাকে চড় মেরে বলল, ‘বিয়ে করার আগে মায়ের কথা একবারও মনে হয়নি? এই বয়সে তুই বিয়ে করতে চলে গেলি!’ পায়েল তখন বলল, ‘ফুলকি তো কিছুই করতে পারছে না! পরিস্থিতি তো হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।
রোহিতের হঠাৎ আক্রমণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ধানুর দ্রুত হস্তক্ষেপে বিপত্তি আটকে যায়। কিন্তু জেঠিমনি আর জেঠুমনি এসে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। ফুলকি তাদের সবকিছু বুঝিয়ে দেয়। পায়েলের বাবার জোরপূর্বক বিয়ে ঠিক করার কারণে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং পিয়াল তাকে বিয়ে করে নিয়েছিল। হৈমন্তী যেমন সবসময়, ফুলকিকে দোষ দিতে শুরু করে, কিন্তু অন্যরা তার পক্ষ নেয়। ঠিক যখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছিল, রুদ্রের আগমন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। সে জানায় যে পায়েল বিরোধী দলনেতা অজয় বাবুর মেয়ে। অজয় বাবুর আকস্মিক আগমন এবং জেঠুমনিকে অপমান করা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। রুদ্রের সাহসী পদক্ষেপ জেঠুমনিকে বাঁচায়। ফুলকি বুঝতে পারে যে জামাইবাবু এসব করছে জেঠিমার কাছে ভালো লাগার জন্য, কিন্তু তার এই কৌশল ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে, পায়েলের হতাশা বাড়তে থাকে কারণ ফুলকি তার জন্য কিছুই করতে পারছে না।