জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি হল ফুলকি (Phulki)। এই ধারাবাহিক দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। ফুলকি ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে, দিব্যানি মন্ডল অভিনীত ফুলকির চরিত্রটি দর্শকদের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, অভিষেক বোসের রোহিতের চরিত্রটিও দর্শকদের দীর্ঘদিনের প্রিয়। দিব্যানি ও অভিষেকের এই জুটি দর্শকদের কাছে বেশ মানানসই মনে হচ্ছে।
ফুলকি ও রোহিত মিলে রুদ্ররূপ সান্যালের সব খারাপ কাজের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে। রুদ্র উড়ালপুর বানানোর জন্য যে টাকা চুরি করেছিল এবং কম মানের উপকরণ দিয়ে উড়ালপুর বানিয়েছিল, সেটাও সবার সামনে এসে গেছে। এসব প্রমাণ করতে রোহিত ফুলকিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। প্রমাণ জোগাড় করতে বাড়ির সকলেই তাদের সাহায্য করেছে। অবশেষে সকলের সামনে আসল সত্যিটা আনতে বেড়েছে ফুলকি এবং রোহিত। কিন্তু রুদ্র যে এই সমস্ত কারসাজি করেছে সে কথা মানতেই রাজি নয় হৈমন্তী দেবী অর্থাৎ রোহিতের জেঠিমা। আসলে হৈমন্তী দেবীর ব্রেন ওয়াশ করে রেখে দিয়েছে রুদ্র, তাই রুদ্র যাই করুক না কেন তার কোনো অন্যায়ের চোখে দেখতে পান না তিনি। ফুলকি বাড়িতে গিয়ে জানায় কিভাবে জেঠু ভেঙে পড়েছে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, খবরের কাগজ পরা বন্ধ করে দিয়েছে, পার্টি অফিসে যাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন : শ্যামলী নুনে পোড়া রান্নাকে খুব তাড়াতাড়ি ঠিক করে ফেলল, বেকায়দায় পড়লো সংযুক্তা
হৈমন্তী জেঠুর অবস্থার খবর শুনে নিজেকে সামলাতে পারছিল না। রুদ্র তাকে বোঝাতে চেষ্টা করল যে এসব ঠকবাজি। কিন্তু হৈমন্তী রুদ্রকে বলে সে খুব অল্প সময়ের জন্য জেঠুর কাছে যাবে।
ফুলকি আজকের পর্ব ২২ সেপ্টেম্বর (Phulki Today Episode 22 September)
আজকের পর্বে দেখানো ঘটনাবলী রোহিতের জেঠুকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে। হৃদয়বিদারক এই অবস্থায় জেঠুকে সবচেয়ে বেশি দরকার তার জেঠিমা, হৈমন্তী দেবী। কিন্তু হৈমন্তী দেবী এই মুহূর্তে নিজের মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন। রুদ্র তাকে ভুল বুঝিয়ে সেখানে নিয়ে গেলেও, ফুলকি এবং তার পরিবার হৈমন্তী দেবীকে ফিরিয়ে আনার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আগে একবার তাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ হলেও, জেঠুর এই দুর্দশা দেখে তারা আবার রুদ্রদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছে।
ফুলকিরা হৈমন্তী দেবীকে রুদ্রদের বাড়িতে কে নিয়ে আসতে গেলে রুদ্র হৈমন্তী দেবীকে বলে ফুলকিরা আবার তাকে ভুল বোঝাচ্ছে। কিন্তু এবারের রুদ্রর কথা না শুনেই হৈমন্তী দেবী ছুটে যায় মাষ্টারমশাই অর্থাৎ জেঠুর কাছে। হৈমন্তীকে বাড়ি ফিরে আসতে দেখে সকলেই খুব খুশি হয়ে যায়। এরপর সকলে তাকে জানায় যে জেঠু সকাল থেকে দরজা খুলছে না। এরপর হৈমন্তীর ডাকাডাকিতে অবশেষে দরজা খোলে জেঠু। তখন সকলে মিলে বলে তাদের দুজনকে আলাদাভাবে কথা বলতে। হৈমন্তী ব্যাগ পত্র নিয়ে আসেনি দেখে আবারো অভিমান হয় জেঠুর। অন্যদিকে সকাল থেকে দুজনেই না খেয়ে আছে দেখে তাদের প্রিয় সুজি বানিয়ে আনে পারমিতা। এরপরে জেঠু হৈমন্তীকে বোঝাতে থাকে কিভাবে রুদ্র তাকে ভুল বোঝাচ্ছে। রুদ্রের সব কারসাজি ধরা পড়ার পর হৈমন্তী বুঝতে পারল যে, সে কত বড় ভুল করেছে। দেশের এই দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবেশ তাকে নিঃস্ব করে দিয়েছিল। সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এই দেশ ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু রুদ্রের ভয় দেখিয়ে সে জেঠুকে একা রেখে যেতে পারল না।