জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল কোন গোপনে মন ভেসেছে ( kon gopone mon veseche )। অমিতাভবাবুর কোম্পানিতে ক্যান্টিন খোলার স্বপ্ন দেখা শ্যামলীর আশা সংযুক্তার ষড়যন্ত্রে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। সংযুক্তা, নিজের প্রেমিককে এই কাজটা দিতে চেয়ে, শ্যামলীর রান্না করা মাংসে অতিরিক্ত নুন মিশিয়ে দিয়ে খাবারটাকে নষ্ট করে দিল। ফলে অমিতাভবাবুকে বাধ্য হয়ে শ্যামলীকে ক্যান্টিন থেকে তাড়িয়ে দিতে হল।
কোন গোপনে মন ভেসেছে আজকের পর্ব ২১ সেপ্টেম্বর/kon gopone mon veseche today full episode 21 September-
আজকের পর্বে ঘটনাবহুল মুহূর্তে অনিকেত তার সহকর্মী শ্যামলীর জন্য একটি অপ্রত্যাশিত উপহার পাঠিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে। শ্যামলীর খাবার নুনে পোড়া হয়ে যাওয়ার পর এই উপহারটি পাঠিয়ে অনিকেত তার মনের ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। তবে, অফিসে এত সুন্দরী মেয়ে থাকতে শ্যামলীকেই কেন উপহার? এই প্রশ্নটি অনিকেতের মহিলা সহকর্মীদের মনে ঈর্ষার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুরুষ সহকর্মীরা এই ঘটনা থেকে বুঝতে পারছে যে, অফিসের মেয়েরা অনিকেতের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে শ্যামলী অনিকেতকে বলে এটা কীভাবে সম্ভব? আমি তো কখনই এত বেশি নুন খাবারে দিই না! তাহলে কীকরে খাবারটা নুনে পোড়া হতে পারে? অনিকেত তখন বলে, কীভাবে সবটা হল সেটা না হয় পরে ভাববেন! আপাতত তাড়াতাড়ি কিছু একটা করে খাসির মাংসটাকে ঠিক করতে হবে, না হলে অমিতাভ বাবু যদি এই খাবার খেয়ে নেন তাহলে আপনাদের হাত থেকে এই কাজটা তো যাবেই সাথে কোম্পানীরও বদনাম হয়ে যাবে। অনিকেত তখন বলে ফ্রেশ ক্রিম দিলে নুনটা কমবে?
আরও পড়ুন : হৈমন্তীর সাহায্যে ফুলকি রুদ্রকে পরাজিত করতে কি সক্ষম হবে? ফুলকির তুরূপের তাস এখন হৈমন্তী
শ্যামলী বলে, হ্যাঁ হ্যাঁ হয়ে যাবে! শ্যামলী ভাবতে থাকে যেভাবেই হোক কোম্পানীর মান আজকে তাকে বাঁচাতেই হবে। অন্যদিকে অনিকেত বলে, মনে আছে একদিন আমার হাত থেকে অনেকটা নুন পড়ে গিয়েছিল তখন আপনি বলেছিলেন বেশ ডুমোডুমো করে আলু কেটে দিতে এবং তার মধ্যে অনেকটা ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে দিলে নুন ভাবটা কেটে যায়! শ্যামলী তখন বলে, আপনি ঠিক বলেছেন, আমি তাড়াতাড়ি সেই ব্যবস্থাই করি! এরপর শ্যামলী ঝটপট সেই কাজ করতে থাকে।
অন্যদিকে অনন্যা আজকে অফিসের সব স্টাফদের বলে, চলুন আজ সবাই মিলে আমরা একসাথে লাঞ্চ করব। এরপর অমিতাভ বাবু, অনন্যা, ভার্গবী সবাই মিলে ক্যান্টিনে চলে আসে। অমিতাভ বাবু বলে রান্না হয়নি? শ্যামলী বলে, হ্যাঁ হ্যাঁ হয়েছে। এরপর শ্যামলী খাবার দিতে থাকে, শ্যামলীর হাতের তৈরি খাসির মাংস খেয়ে সকলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। অমিতাভ বাবু বলে, আপনি নুনের পরিমাণটা একদম ঠিক ঠাক দিয়েছেন, এইবার থেকে পাকাপাকি ভাবে আপনাদের কোম্পানি আমাদের এই রান্না করার দায়িত্বের অর্ডারটা পেল।
সংযুক্তার মনে প্রশ্ন জাগে, এত কম সময়ে নতুন করে মাংস রান্না করা কি সম্ভব? অনিকেতের এত সাহায্য সত্ত্বেও সে শ্যামলীর প্রতি তার অনুভূতি স্বীকার করতে চায় না, বরং দেনা শোধের কথা বলে। কিন্তু শ্যামলী এই ঘটনাকে সন্দেহের চোখে দেখে। তার মনে হয়, অফিসে তার কোনো শত্রু আছে, যে চায় না সে এখানে থাকুক। এই ধারণা আরও জোরালো হয় যখন সে তার খাবারে অতিরিক্ত নুন পায়। শ্যামলীর বুদ্ধিমত্তা বিবেচনা করে, সংযুক্তার অভিপ্রায় তাকে খুব শীঘ্রই ধরা পড়তে পারে।