বাংলা সিরিয়ালে ‘সম্মান’ রক্ষার নামে হত্যাকে কতটা যুক্তিযুক্ত করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও, বাংলার মেয়েরা নিজেকে নিরাপদ বোধ করতে পারছে না। কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রাজ্যের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা রাজ্যের মেয়েদের সুরক্ষার ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার প্রমাণ বলে মনে করছেন অনেকে।

বাংলা সিরিয়ালে বাস্তব দিক সমাজের :

“একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, যখন কোন মহিলা নিজেকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে বাধ্য হয়, তখন সেই মহিলার আত্মরক্ষার জন্য করা আক্রমণের দায় কার? প্রাণ বাঁচাতে কাউকে হত্যা করলে তা কি আত্মরক্ষা বলে গণ্য হবে, নাকি অপরাধ? উল্লেখ্য, বাস্তব জীবনের নির্যাতনের বহু ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সিনেমা নির্মিত হয়েছে, যা বাস্তবের চিত্রকে পর্দায় তুলে ধরে।”

প্রশাসনের দায়িত্ব: “নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলার কারণে, প্রশাসনের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে এই প্রশ্নটি উঠে এসেছে।”

আইনের সীমা: “আইনের চোখে হত্যা একটি অপরাধ, কিন্তু সামাজিক ন্যায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনাকে কীভাবে দেখা হবে, সেই প্রশ্নটিই এখানে মূল।”

আরও পড়ুন : আরজিকর কাণ্ডে মৃতার পরিবারকে কটাক্ষ অভিনেত্রী ঋ সেন, কী মন্তব্য করলেন তিনি

বর্তমানে এই এক কাহিনী নিয়েই এগিয়ে চলেছে সান বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আকাশ কুসুম’। আকাশ কুসুম -এর সাম্প্রতিক পর্বে রাজা, অমৃতা, অরিত্র এবং রেহান বাড়িতে জমিয়ে পার্টি করছিল। মদ্যপ অবস্থায় রেহান একটি নির্জন ঘরে অমৃতাকে একা পেয়ে তার উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক সেই মুহূর্তে ডালি ঘটনাস্থলে পৌঁছে অমৃতাকে রেহানের কবল থেকে বাঁচাতে গিয়ে তাকে আঘাত করে।

ঠিক তখনিই পুলিশের আগমনে ঘটনাস্থলে নেমে এলো নীরবতা। ডালি, কাঁপা হাতে, স্বীকার করল যে সে অমৃতাকে বাঁচাতে রেহানকে হত্যা করেছে। এই ঘটনা সামাজিক ন্যায়বিচারের এক জটিল প্রশ্ন তুলে ধরে। একজন মেয়ের সম্মান রক্ষার নামে করা এই হত্যার পেছনে কী লুকিয়ে আছে? ডালি কি সত্যিই একজন প্রতিবাদী, নাকি একজন অপরাধী? আইনের চোখে এই ঘটনার ফলাফল কী হবে, তা সবার নজর কাড়ছে।

Leave a Comment