৪৪৪৭টি সিসিটিভির তত্ত্বাবধানে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায়। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে রাজ্যকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে

আরজি কর হাসপাতালে ঘটনার জেরে নারী সুরক্ষা এবং বিশেষ করে কর্মরত মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা রাজ্যবাসীকে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলার শুনানিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

কী বলল আদালত (Supreme Court)?

এদিন প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে জিজ্ঞেস করেন, যদি ৪৪৪৭টি সিসিটিভ ক্যামেরা ছিল, তাহলে এই ধরণের ঘটনা ঘটল কীভাবে? এখানেই শেষ নয়, আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী যন্ত্রপাতি লাগানো ছিল, সেটাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারকে কঠোর সমালোচনা করে হাসপাতালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট হাসপাতালের নিরাপত্তার অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে পরবর্তী শুনানিতে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে হাসপাতালে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য আগামী মঙ্গলবার জমা দিতে হবে।

শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানান, জরুরি ফোন ও সব হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। একথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ৩৭.২৮ কোটি টাকা ব্যয় করে ৪৪৪৭টি সিসিটিভি বসানোর পরেই কীভাবে এই ধরণের ঘটনা ঘটে। আরও ৬৮৭১টি সিসিটিভি বসানোর কাজ কতখানি হয়েছে। একইসঙ্গে ৮৯৩টি বিশ্রামঘর তৈরিরও কথা ছিল। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে স্রেফ বরাদ্দ এবং খরচ নয়, কাজ কতদূর হয়েছে এবার সেই নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন :  ডু ইউ লাইক ইট? পুরুষ নার্সের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! সন্দীপের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত

সুপ্রিম কোর্টের কড়া হুঁশিয়ারিতে চিকিৎসকদের আন্দোলন। আদালত মেডিক্যাল কলেজে জেলাশাসকদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে এবং চিকিৎসকদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেছে।

প্রধান বিচারপতির নির্দেশে মেডিক্যাল কলেজে নতুন অধ্যায়। আদালত চিকিৎসকদের আন্দোলনকে দমন করতে কঠোর হয়েছে এবং জেলাশাসকদের নিয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে চায়।

Leave a Comment