রোহিত আজ ফুলকির অভিমান ভাঙাতে এমন কী করল যে আজকের পর্বটা সবার মন জয় করে নিল

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ফুলকি ( Phulki )। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় ফুলকির একক সিদ্ধান্তে পিয়াল আর পায়েলের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া পরিবারে একটা বড় বিপত্তি ডেকে আনে। পিয়ালের এই অনিচ্ছাকৃত বিবাহের জন্য ফুলকিকে দায়ী করে রোহিত তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হাত তোলার চেষ্টা করে। এই ঘটনা ফুলকিকে আরও ক্ষুব্ধ করে তোলে এবং সে রোহিতকে বুঝিয়ে শোনানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

ফুলকি আজকের পর্ব ২৭ সেপ্টেম্বর (phulki today full episode 27 September)

আজকের পর্বে ফুলকি রোহিতের প্রতিদিনের অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে তার সামনেই সব কথা বলে দিল। সে রোহিতকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল যে সে আর তার ঘরে শোবে না। পায়েলদির ঘরে গিয়ে শুতে চায়। রোহিত যতই তাকে আটকাতে চেষ্টা করুক, ফুলকি তার কথা শুনল না। রোহিত বুঝতে পারল ফুলকি তাকে জব্দ করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পরের দিন দেখা যায় যে পিয়াল এসে বলে ফুলকি পায়েল কফি খেতে ভালোবাসে, পায়েলের জন্য এক কাপ কফি করে দাও। তমাল তখন বলে বাবা ব‌উয়ের জন্য কত যত্ন। এরপর ফুলকি পায়েলের জন্য কফি করে দেয় ওদিকে ধানু পিয়ালকে বলে তুই বিয়ে করে নিলি, আমার কথা একবারও ভাবলি না! ফুলকি তখন বলে তুমি চিন্তা করছ কেন আমরা সবাই তো তোমার সাথে আছি! অন্যদিকে রোহিত মুখটা শুকনো করে দাঁড়িয়ে থাকে।

তমালরা তখন বুঝে যায় ফুলকি গতকাল রোহিতের সাথে ছিল না বলে রোহিতের মন খারাপ। অন্যদিকে পিয়াল ঘরে গিয়ে দেখে পায়েল এক মন দিয়ে পড়ছে তাই সে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর ফুলকি গিয়ে তাড়া দেওয়ায় পিয়াল কফিটা পায়েলকে দিলে পায়েল বলে বই নিয়ে আয়, একসাথে পড়তে বসব।

আরও পড়ুন : পুজোর আগে সরকারি কর্মচারীদের পকেট ভারী, নির্দিষ্ট শ্রেণির সরকারি কর্মচারীরা পেতে চলেছেন!

ফুলকি তখন বলে বিয়ের পরের দিন তোমরা একসাথে পড়তেই বসো, কোথায় ভাবলাম একটু মজা আনন্দ করব তা না! অন্যদিকে ঈশিতা রুদ্রর কাছে গিয়ে বলে তোমার জন্য একটা ভালো খবর নিয়ে এসেছি।

“আর কোন ভালো খবর নেই?” রুদ্রের কণ্ঠে দুঃখের ছাপ। “শালিনীকে বাঁচাতে না পারার কষ্ট আমাকে চিরদিন খেয়ে ফেলবে। ফুলকির যদি একটু সান্ত্বনা দিতে পারতাম।” ঈশিতা তখন বলে, “তমাল আমাকে ফোন করে একটা ভালো রিসোর্টের কথা বলল। ফুলকি আর রোহিত দুজনে সেখানে যাবে। দেখ না, কিছু একটা করা যায় কিনা!” রুদ্রের চোখে এক ঝলক আশার আলো দেখা গেল। সে বলল, “দেখছি। অন্যদিকে রোহিত ফুলকিকে রিসর্টের ছবি দেখিয়ে বলে এটা পছন্দ? এখানে আমরা দুজন যাব। অন্যদিকে রুদ্র ঈশিতা দুজনে মিলে পরিকল্পনা করতে থাকে ফুলকির ক্ষতি করার? তাহলে কি ফুলকির অভিমান ভাঙাতে গিয়ে চিরদিনের মত ফুলকি কে হারাবে রোহিত?

Leave a Comment