জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকিতে ( Phulki ) ঈশিতাকে বোকা বানিয়ে দেবদাস মাইতি কোথায় লুকিয়ে আছে, সে খবর যখন ফুলকি, রোহিত আর অংশুমানের দলের কানে যায়, তখন তাদের মনে একটা তীব্র উত্তেজনা জাগে। অংশুমান, লাবু আর পারমিতা সরাসরি রুদ্ররূপের জনসভায় যায়, যেন একটা আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো। আর ফুলকি আর রোহিত গোলাপবাগানে দেবদাস মাইতির খোঁজে ছুটে যায়। অন্যদিকে, জনসভায় রুদ্ররূপকে ঘিরে সবাই নাচেগানে মেতে উঠে, যেন কিছুই জানে না।
ফুলকি আজকের পর্ব ১৯ সেপ্টেম্বর/phulki today full episode 19 September-
আজকের পর্বে গোলাপবাগানের রাস্তায় রুদ্রর নির্দেশে দেবদাস মাইতিকে ঘিরে রেখেছিল একদল গুন্ডা। ফুলকি সেখানে পৌঁছে গুন্ডাদের সাথে প্রচন্ড লড়াই করে। একের পর এক গুন্ডাদের পরাস্ত করে সে দেবদাস মাইতিকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে, জনসভায় রুদ্র ঈশিতার ফোনে না পেয়ে ও তার অনুপস্থিতিতে ক্রমশ অস্থির হয়ে পড়ে।
রুদ্র ঈশিতাকে খুব ভালোভাবে চিনত। সে জানত ঈশিতা এত বোকা নয়। তার কাছে যথেষ্ট বুদ্ধি আছে। তবুও, ঈশিতার ফোন বন্ধ থাকায় রুদ্র খুব চিন্তিত। অন্যদিকে, দেবদাস মাইতি প্রথমে নিজেকে বাঁচাতে চেয়েছিল। সে বলছিল সে এই ঘটনার সাথে জড়িত নয় এবং সে এখানে লুকিয়ে ছিল না। সে কাজের জন্য এখানে এসেছিল। কিন্তু ফুলকিরা তাকে সব সত্যি কথা বলতে বাধ্য করে। তার মুখে একটা খবরের কাগজের ঠোঙ্গা ভরে দেওয়া হয় যাতে সে পালাতে না পারে। এমনকি, রোহিত দেবদাসের চশমা খুলে নিজের কাছে রেখে দেয় যাতে সে আর পালাতে না পারে।
অন্যদিকে জনসভায় লাবু, পারমিতারা লক্ষ্য করতে থাকে রুদ্ররূপ সান্যাল কেমন যেন অস্থির হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে গাড়িতে করে দেবদাস মাইতিকে আনতে থাকে ফুলকি, রোহিত, তমাল। এরপর ধারাবাহিকে দেখা যায় যে দুপুর থেকে বিকেল হয়ে গেছে আর জনসভায় বিশিষ্ট অতিথিরা বসে আছেন। রুদ্ররূপ বক্তব্য রাখতে যাবে, সেই কারণে দৌড়াতে দৌড়াতে ঈশিতা সেখানে উপস্থিত হয়েছে। ঈশিতাকে দেখে ধানুরা ভাবে ঈশিতা বোধহয় সব বুঝতে পেরেছে কিন্তু ঈশিতা আসলে কিছুই বুঝতে পারেনি।
আরও পড়ুন : টেলিভিশনের পর্দায় ফুলকি বনাম দুই শালিক, দর্শকদের মন জয় করার লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী হবে?
ঈশিতা রুদ্ররূপকে বলে তোমার বক্তব্যটা রেডি করছিলাম। আমার ফোনটা খারাপ হয়ে গেছে তাই ফোনটা মেকানিকের দোকানে দিয়ে তারপর এসেছি। রুদ্র বলে তোমার ফোনের কী হয়েছে? ঈশিতা বলে আমার ফোন খারাপ হয়ে গেছে, ফোন পুরো অফ হয়ে গেছে, ফোনে কোনও রকম ফোন আসছে না, তাই সে দোকানে সেটা সারাতে দিয়েছে। রুদ্র তখন বলে এটা কী করে হতে পারে? তুমি তো কিছুক্ষণ আগেই আমার সাথে কথা বললে! ঈশিতা বলে, আমি তো কোনও ফোন করিনি! রুদ্র তখন বুঝতে পেরে যায় তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
রুদ্র বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই ফুলকি ও রোহিত দেবদাস মাইতিকে নিয়ে এলেন। ফুলকি লাবুকে দেখিয়ে প্রমাণ করে দিল যে, রুদ্রই উড়ালপুলের কন্ডাক্টরকে আশ্রয় দিয়েছিল। জনতা রেগে গিয়ে রুদ্রকে মারতে ছুটে গেল। ফুলকি রোহিতকে বলল, “স্যার, আপনি আমার পাশে থাকবেন তো?” রোহিত বলল, “হ্যাঁ, বক্সিং শিখে বুঝলাম, জীবনটা লড়াই।