জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ফুলকি ( Phulki )। এই ধারাবাহিকে দেখা যায়, জেঠিমনি বুঝতে পেরেছিলেন যে রুদ্র তার জীবনকে ভুল পথে নিচ্ছে। এই বাস্তবতা তাকে রুদ্রের বাড়ি ছেড়ে রায় চৌধুরী বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য করেছিল। ফুলকি এবং রোহিতও রুদ্রের বাড়ি থেকে সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে আসে। এই ঘটনা রুদ্রকে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ করে তোলে। সে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মনে মনে নানা কৌশল বুনতে থাকে।
ফুলকি আজকের পর্ব ২৩ সেপ্টেম্বর/phulki today full episode 23 September
আজকের দিনটি দুটি সুখবর নিয়ে শুরু হয়েছে। ফুলকি, রোহিত এবং তমাল জেঠিমশায়ী সকলের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। অন্যদিকে, পিয়ালকে আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া দেওয়া হবে, যা শুনে কাবেরী খুশিতে আফরিন। ফুলকি বাড়ির পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে ওঠায় কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছে। পরে, রোহিত তমালকে বলে, ‘চল, আমরা দুজনে মিলে পিয়ালকে নিয়ে আসি। কাকুমনিও আমাদের সাথে আসতে চাইছে।
পিয়ালকে দেখে কাবেরী খুশিতে আফরিন হয়ে উঠল। রোহিত তাকে কোলে করে ওপরে তুলতে চাইলেও, পিয়াল নিজেই উঠতে চাইল। ঘরে ঢুকে সে চমকে উঠল। তার ঘরটা এত সুন্দর করে সাজানো! ধানু এত কিছু কখন করেছে সে বুঝতে পারছিল না। পিয়াল বারবার বলছিল, “বাবা, আমার ঘরটা এত সুন্দর কে করেছে? আমার ঘর তো অগোছালো থাকলেই ভালো ছিল!” পাশে দাঁড়িয়ে কাবেরী পিয়ালের নজর দোষ কাটাতে থাকায় সবার মুখে হাসি ফুটে উঠল।
পারমিতা বলে, আমি পিয়ালের জন্য সেই বিশেষ বিরিয়ানিটা রান্না করেছি চলবে তো? পিয়াল তো এটা শুনে খুব খুশি হয়ে যায়। এরপর পিয়াল বলে ফুলকি আমার কাছে তো ফোন ছিল না পায়েল কি ফোন করেছিল? ফুলকি বলে, কই না তো। অন্যদিকে দেখা যায় পায়েলের বাবা অজয় বাবু পায়েলের জন্য খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার জন্য সম্বন্ধ ঠিক করেছেন। অজয় বাবু পায়েলকে বলে, কাল পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে আর কালকেই তোমার আশীর্বাদ।
আরও পড়ুন : শ্বেতার জন্মদিন উপলক্ষে রুবেলের বিশেষ আয়োজন
পায়েল বলে আমি এখন বিয়ে করতে চাই না বাবা আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই কিন্তু অজয় বাবু পায়েলের কোন কথা শোনে না এর মধ্যেই পিয়াল পায়েলকে ফোন করে। পায়েল পিয়ালকে বলে, সে ঠিক নেই, কারণ তার বাবা রাতারাতি তার বিয়ের ঠিক করে ফেলেছে। পিয়াল তখন বলে এটা হতে পারে না তুই আমার সাথে দেখা কর। এরপর পিয়াল ফুলকিকে বলে, আমি পায়েলকে ছাড়া থাকতে পারবো না কী হবে? এরপর পায়েল পিয়ালের সাথে দেখা করে বলে তুই আমাকে নবাবগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ছেড়ে দিয়ে আয় আমি ওখান থেকে চলে যাব।
পিয়াল পায়েলকে তার সাথে যেতে বলে। ফুলকিকে কালিতলায় ডেকে নেয়। তেওয়ারি তাদেরকে একসাথে দেখে রুদ্র আর ঈশিতাকে খবর দেয়। ঈশিতা ছবিটা দেখে চমকে যায় এবং অজয় বাবুকে জানাতে বলে পিয়ালকে শিক্ষা দিতে।
রুদ্র দৃঢ় স্বরে কালীতলার দিকে যাত্রার নির্দেশ দিল। তার দলবল, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, তার পিছনে পিছনে হাঁটতে শুরু করল। অন্যদিকে, পিয়াল পায়েলকে বিয়ে করার জন্য দিনরাত এক করে চেষ্টা করছিল। সে পায়েলের কাছে নানা প্রলোভন দেখাতে লাগল। কিন্তু পায়েল বিয়েতে রাজি হতে চাইছিল না। সে তার পড়াশোনা পূর্ণ করতে চাইছিল। ফুলকি, পিয়ালের কথা শুনে, পায়েলকে বোঝাতে লাগল যে এই বিয়েই তার ভালোর জন্য। অবশেষে, পায়েল দুটি শর্তে রাজি হলো – তাদের মধ্যে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক থাকবে না এবং পায়েলের পড়াশোনা বন্ধ করা যাবে না। পিয়াল বাধ্য হয়ে রাজি হলো। তাদের বিয়ে হয়ে গেল। কিন্তু অজয় বাবুর লোকজন যে কোনো মুহূর্তে আসতে পারে, সেই ভয়ে পিয়াল ও ফুলকির মন দুশ্চিন্তায় ভরে উঠল। তারা ভাবতে লাগল, অজয় বাবু কি তাদের কোনো ক্ষতি করবে?