সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে যুবকের মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মৃতের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস

বুধবার রাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশক্রমে, বৃহস্পতিবার সকালে মৃত দিনমজুর শফিকুলের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল তার বাড়িতে গিয়েছিল।

দেগঙ্গার যুবক শফিকুল ইসলামের মৃত্যু ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসার অভাবে শফিকুলের মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে। তারা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং শফিকুলের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সোহাই শ্বেতপুরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে প্রথমে বারাসত হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা না পেয়ে পরিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএমেও ভর্তি করানোর চেষ্টা করে। চারটি সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার সেখানে শফিকুল ইসলাম প্রাণ হারান।

জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দিনমজুরের মৃত্যুর ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী দফতরে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছিল। এরপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বুধবার রাতেই মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে দেগঙ্গা ও অশোকনগরের বিধায়কসহ স্থানীয় পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা মৃতের বাড়িতে যান। তারা পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাদের সমবেদনা জানান এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মৃতের স্ত্রীর বায়োডেটা নিয়ে অশোকনগরের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাকরি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

আরও পড়ুন : রেলওয়েতে চাকরি! বয়সে ছাড় পেয়ে স্বপ্ন পূরণ করুন, জেনে নিন বেতনক্রম ও আবেদনের নির্দেশিকা

নারায়ণ মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শফিকুলের পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা এই দুঃখের ঘড়িতে পরিবারের পাশে থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী মৃত যুবকের স্ত্রীর বায়োডাটা নিয়েছেন এবং তাঁর ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

রহিমা চিকিৎসকদের অবহেলার জন্য ক্ষুব্ধ। তিনি মনে করেন চিকিৎসকরা যদি তাদের দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে এই যুবকের প্রাণ বাঁচানো যেত। তিনি বলেন যে পরিবারের এই ক্ষতি আর কোনোদিন পূরণ হবে না।

Leave a Comment