হৈমন্তীর সাহায্যে ফুলকি রুদ্রকে পরাজিত করতে কি সক্ষম হবে? ফুলকির তুরূপের তাস এখন হৈমন্তী

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ফুলকি ( Phulki )। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে জনসভায় ফুলকির আকস্মিক উপস্থিতি এবং দেবদাসকে নিয়ে আনা রুদ্রের জন্য এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তার ভালো মানুষের মুখোশ খুলে যাওয়ায় জনতা রুদ্রের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে, রায়চৌধুরী বাড়িতে, রুদ্র মৃন্ময় ও অভিজিৎকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিজ ভাঙার দায় থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে।

ফুলকি আজকের পর্ব ২১ সেপ্টেম্বর/phulki today full episode 21 সেপ্টেম্বর

আজকের সভা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, দলের মধ্যে দুইটি ভিন্ন চিন্তাধারার সংঘর্ষ হচ্ছে। একদিকে জেঠুমনির মত অভিজ্ঞ নেতারা যাঁরা দলের নীতি-নিয়মের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেন, অন্যদিকে অভিজিৎ ও মৃন্ময়ের মত নতুন প্রজন্মের নেতারা যাঁরা দ্রুত সাফল্য অর্জনের জন্য যেকোনো পথে হাঁটতে প্রস্তুত।

এরকম কথা শুনে ভীষণ কষ্ট পায় জেঠুমণি। তাকে দেখে রোহিত আর ফুলকি বুঝতে পারে কিছু একটা হয়েছে তখন তারা জিজ্ঞেস করে কী হয়েছে? জেঠুমনি রোহিতকে সবটা খুলে বলে, আমি চাইছিলাম রুদ্র পদত্যাগ করুক কিন্তু ওরা আমাকে বুঝিয়ে দিল আমার আর পার্টিতে কোন জায়গা নেই, আমি যেন পদত্যাগ করি। এটা শুনে ফুলকি অত্যন্ত রেগে যায় আর সে রুদ্রর সাথে কথা বলতে চলে যায়। রুদ্র আর ঈশিতা তখন একটা কথা বলছিল ফুলকিকে দেখে ঈশিতা বলে, শয়তানের নাম নিলাম আর শয়তান হাজির।

আরও পড়ুন : “অনুরাগের ছোঁয়া” সিরিয়ালে কয়েক বছর পর একটি চমকপ্রদ ঘটনা

ফুলকি সেখানে এসে বলে, জামাইবাবু আপনি বারবার অন্যায় করে এইভাবে বেঁচে যেতে পারেন না! আপনি বারবার এরকম খারাপ ব্যবহার করতে পারেন না! ঈশিতা তখন বলে, তোমার তো সাহস কম নয় তুমি রুদ্রর সাথে এভাবে কথা বলছ?! ফুলকি তখন বলে, সাহস আমার বরাবরই বেশি আর অন্যায় আমি কখনই মেনে নিই না। জামাইবাবু আপনি যেটা করছেন সেটা অন্যায়। রুদ্র তখন বলে, তুমি সকলের সামনে আমাকে অপমান করেছো আমি সেটা মেনে নেব ভেবেছো? আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়ব না।

“পরের দিন সকালে জেঠুমনি তার ঘরে নিজেকে আটকে রাখল। দরজা বন্ধ করে সে ভেতরে বসে রইল। পারমিতা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল। সে দ্রুত লাবুকে ফোন করে বলল, ‘মা যদি বাড়ি না ফেরেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।'”

ফুলকি আর তার বন্ধুরা সবাই মিলে কান্না জুড়ে রুদ্রর বাড়িতে ছুটে যায়। ফুলকি একটা স্কেল হাতে নিয়ে হৈমন্তীর কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। তার চোখে জল জ্বলজ্বল করছিল। সে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে, “জেঠিমনি, আমাকে মারো। কিন্তু আমার জেঠুকে কষ্ট দিও না। তুমি না গেলে জেঠু মারা যেতে পারে। তাই দেরি করো না, চলো।” সকলের কথা শুনে হয় হৈমন্তী যখন বেরোতে যাবে তখন রুদ্র এসে বলে, ফুলকি আর রোহিত কাল তার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে! তখন পারমিতা বলে, মা তুমি জানো রুদ্র দা কালকে সকলের সামনে বাবাকে অপমান করেছে আর বলেছে বাবার মত লোকের পার্টিতে কোন‌ও দরকার নেই! ফুলকিকে অপমান করায় রুদ্রদার উপর রোহিত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনা দেখে হৈমন্তী এবং রায়চৌধুরীরা হতবাক হয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এবার দেখার মতো, হৈমন্তী কি রুদ্রর এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে?

Leave a Comment