জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি ( Phulki )। ধারাবাহিকের একটি দৃশ্যে, রুদ্রের জনসভা চলাকালীন ফুলকি ও রোহিত দেবদাস মাইতিকে সেখানে নিয়ে আসে। তারা সকলের সামনে রুদ্রের মুখোশ খুলে দেয় এবং প্রকাশ করে দেয় যে রুদ্র আসলে দেবদাস মাইতিই। এই ঘটনার ফলে জনতা রুদ্ররূপের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাকে মারতে চায়। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠলে রুদ্র নিজেকে বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ফুলকি আজকের পর্ব ২০ সেপ্টেম্বর/phulki today full episode 20 September-
রুদ্রকে ফোন করে বলা হলো, “একটা ভয়ানক সমস্যা হয়ে গেছে। ফুলকি সব কিছু ফাঁস করে দিয়েছে! সে ঈশিতার ফোনটা নিয়ে সব কথা জেনে নিয়েছে। তোমাকে অবশ্যই তাড়াতাড়ি গোলাপ বাগানে আসতে হবে। আমিও এখুনি যাচ্ছি। রুদ্র রোহিতকে জানালো যে, দেবদাস মাইতির কাছ থেকে কোনো তথ্য বের করা যাচ্ছে না। সে সরাসরি রুদ্ররূপের নাম না নিলেও, রুদ্র যে দলটা করেছিল সেখানে ও কিছু কাটমানি দিয়েছে বলে উল্লেখ করছে।
রোহিত বলে, ঐ গোলাপ বাগানের বাড়ি সার্চ করলেই তো সব সত্যি জানা যেতে পারে। অংশু তখন বলে এইভাবে আমরা কারোর বাড়ি সার্চ করতে পারি না তার জন্য সার্চ ওয়ারেন্ট লাগে দেখছি কি করা যায়! রোহিত তখন বলে, যা করার একটু তাড়াতাড়ি করো, জেঠুমনিও খুব ভেঙ্গে পড়েছে এইসব কথা শুনে। অন্যদিকে রোহিত সব কথা ফুলকিকে বলে। তখন ফুলকি বলে স্যার আমরা নিজেরাই তো গোলাপ বাগানের বাড়িতে গিয়ে একটু খুঁজে দেখতে পারি।
আরও পড়ুন : প্রেমের গুঞ্জন সত্যি! মুখ খুললেন গুড্ডি শ্যামৌপ্তি
তেওয়ারি রুদ্ররূপকে অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, “ফুলকি কিভাবে গোলাপ বাগানের বাড়ির গোপন তথ্য জানতে পেল?” রুদ্রের কণ্ঠে এক ধরনের আতঙ্ক ছিল। সে উত্তর দিল, “ঐ ফুলকি! সে ঈশিতার ফোন চুরি করে আমাকে ফোন করেছিল। ঈশিতার মতো করে কথা বলে আমাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। আমিও তার কথায় বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম। এখন আমাদের অবশ্যই দ্রুত সব কাগজপত্র গুটিয়ে রাখতে হবে। হয় মাটির নিচে, হয় কোনো নিরাপদ জায়গায়। না হলে এই কাগজপত্র পুলিশের হাতে চলে গেলে আমাদের জন্য মারাত্মক পরিণতি হবে।”
তেওয়ারি বলে, দাদা আমি দেখছি কী করা যায়। রুদ্র তখন কয়েকটা কাগজ খুঁজে পায় আর সেগুলো পুড়িয়ে দেয়। এরপর তেওয়ারি বলে, দাদা আজকে মাস্টার মশাই একটা মিটিং করছে আর সেই মিটিংয়ে আপনাদের পার্টির লোককে ডেকেছে আপনাকেও ডেকেছে। রুদ্র তখন মৃন্ময় আর অভিজিৎকে জানিয়ে দেয় যাওয়ার জন্য। রুদ্র কোনওভাবেই একা যেতে চায় না। এরমধ্যেই ফুলকি সেখানে পৌঁছে যায় আর ফুলকির সাথে রুদ্রর কথা কাটাকাটি হয়। এইসময় রোহিত রুদ্রকে হাত ধরে টানতে টানতে বাড়ির মিটিংয়ে নিয়ে যায়।
বাড়ির মিটিংয়ে উত্তেজনা চরমে উঠল যখন জেঠু মনি রুদ্রকে কাট মানির বিষয়ে জিজ্ঞেস করল। রুদ্র অস্বীকার করলেও, মৃন্ময় ও অভিজিৎ তার পক্ষে দাঁড়াল। কিন্তু ফুলকি রোহিত রুদ্রকেই সবকিছুর মূলে দায়ী করল। রুদ্র প্রমাণ চাইলে ফুলকি একদিন সত্য উদঘাটন করবে বলে আশ্বাস দিল। কিন্তু পুড়ে যাওয়া প্রমাণ কীভাবে খুঁজে পাবে, সেই রহস্যই সবাইকে চিন্তিত করে তুলল।