Subho Bibaho Today Episode: স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় শুরু হওয়া শুভ বিবাহ (Subho Bibaho) ধারাবাহিকটি প্রথম পর্ব থেকেই দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। সোনামণি সাহা ও হানি বাফনার অভিনয়ের পাশাপাশি সকলের অভিনয় দিয়ে এই ধারাবাহিকটি টেলিভিশন জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শুভ বিবাহ আজকের পর্ব ২৩শে সেপ্টেম্বর | Subho Bibaho Today Episode 23rd September
ধারাবাহিকের নতুন পর্বে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটবে। সুধারা ত্বরিতাকে ভয় দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নেবে। অন্যদিকে, জোছনা তার প্রেমিককে গজাননের প্রসাদ খাওয়ায়, যা দেখে তার শাশুড়ি ঠাম্মি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, জোছনার স্বামী এই ঘটনায় কোনো রাগ দেখাবে না। বরং তিনি সকলের সামনে জোছনাকে গান করতে অনুরোধ করবে, যা ঠাম্মিকে আরও বেশি ক্ষুব্ধ করে তুলবে।তিনি গান না গিয়েই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর জোছনা নিজের দোষ ঢাকতে স্বামীর কাছে গিয়ে তেজের বদনাম করতে শুরু করে। সে বলতে থাকে তেজ এতটাই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে, এখন আর তাঁকে পরিবারের ফ্যাক্টরির পুজোতে দেখা যাচ্ছে না। সে এখন শুধুই সুধার পেছনে ঘুরছে। এরমধ্যে দেখা যায়, গজাননের গলার হার এসে পৌঁছায়নি এখনও।
এরপরই দেখা গেল, সুধা এবং তেজ গজাননের গয়না নিয়ে হাজির। তাদের একসঙ্গে দেখে সবার মনে এক অদ্ভুত অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়ল। বাড়িতে সবার চেহারায়ই সুধাকে দেখে এক আনন্দের ঝলক ফুটে উঠল। ফ্যাক্টরির পুজোতে আসা অতিথিরা সুধাকে খুঁজে বেড়াতে ব্যস্ত ছিল। তাদের অপেক্ষার অবসান হলেও, বসু মল্লিক বাড়ির কেউই আসল সত্যিটা মুখ খুলে বলতে পারছিল না। পরে, ঠাকুর মশাইয়ের নির্দেশে তেজ ও সুধা একসঙ্গে আরতি করে গজাননের পায়ের কাছে হার রাখল।
আরও পড়ুন : স্টার জলসায় আসছে ‘রাঙামতি তীরন্দাজ!’। এই আদিবাসী মেয়ের গল্প কি আপনাকেও উত্তেজিত করে?
এরপর ঠাম্মি সুধাকে প্রশ্ন করে, সুধা কোথা থেকে এই গয়না পেল। সুধা আগেই বলেছিল যে, গয়না খুঁজে বের করার জন্য বাড়িতে পুলিশ আসবে। কিন্তু ঠাম্মি খোঁজ নিয়ে দেখে হার উদ্ধার করতে বাড়িতে পুলিশ আসেনি। সুধা ঠাম্মিকে কথা দিয়েছিল যে, গজাননের পূজোর আগেই সে হার তাঁকে ফিরিয়ে দেবে। আর সেই কথা সুধা রেখেছে। শুধু তাই নয়, সুধা গয়নার চোরকেও ধরে এনেছে। এরপর দেখা যায়, সমুদ্র ও ঝিনুক মিলে ত্বরিতাকে নিয়ে আসে তাঁর চোখ, মুখ, হাত বাঁধা অবস্থায়। আর ত্বরিতাকে দেখে সকলেই অবাক হয়ে যায়। কিন্তু সুধা কড়া করে বারণ করে দেয় আওয়াজ করার জন্য।
ত্বরিতা হঠাৎ নিজেই সব কিছু মেনে নিল, যেন কোন জাদু হয়ে গেল। আসলে সে ভয় পেয়েছিল যে কিডন্যাপাররা তাকে কষ্ট দেবে, তাই নিজেই গয়না চুরি করার কথা বলে দিল। সে বলল, সে নিজেই গয়নাগুলো পড়তে চেয়েছিল বলে চুরি করেছিল। কিন্তু এখন সে দোষ স্বীকার করে নিচ্ছে এবং কিডন্যাপারদের কাছে ক্ষমা চাইছে। তার এই আকস্মিক স্বীকারোক্তিতে সবাই অবাক হয়ে গেল। সকলে বুঝতে পারল যে আসল দোষী কে।