ইডি-র ( ED ) দাবি অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য এবং সুজয়কৃষ্ণ একই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেয়ে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের সম্ভাবনা নিয়ে রাজ্যে জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০২২ সাল থেকে রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২০২২ সালের জুলাই মাসে এবং মানিক ভট্টাচার্যকে সেই বছরের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা যে কয়েকজনকে মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করেছিল, সেই তালিকার অন্যতম সদস্য ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন আটক থাকার পর অবশেষে হাইকোর্ট তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছে। এর আগে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও জামিন পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : জেলবন্দি সন্দীপের ঘুম উড়ল, ইডি-র বিরাট পদক্ষেপ
“নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেয়েছেন। ইডি-র মামলায় এই শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর হওয়ায় হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে। একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা চলছে।”
“গত আগস্টে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইন (PMLA) সংক্রান্ত একটি মামলায় পর্যবেক্ষণ করেছিল যে, সাধারণত এই ধরনের মামলায় জামিন দেওয়া হয় এবং জেলে পাঠানো ব্যতিক্রম। এই আদেশের পর, PMLA মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি জামিন পাবেন, সেই প্রশ্ন আইনি মহলে উঠেছে।”