আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তদন্ত এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার শোনা যাচ্ছে, এই মামলায় ইডিও বড় ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে।
জেলবন্দি অবস্থাতেই বড় ‘ধাক্কা’ সন্দীপের (Sandip Ghosh)?
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন সন্দীপ। এক এক করে সামনে এসেছে তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া নানান দুর্নীতির কথা! সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তদন্তভার যেতেই লাগাতার জেরা শুরু হয়। এরপর কৌশিকী অমাবস্যার রাতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপের বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইডি সন্দীপ এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ৭টি প্রপার্টি বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলে জানা গেছে।
আরজি কর মামলায় ইডির তদন্তে সন্দীপের সম্পত্তির উপর আঘাত আসতে পারে।
আরও পড়ুন : নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সিনহা ক্ষুব্ধ ‘কারচুপি করতে এত সময় লাগে?’ এল বিরাট নির্দেশ
সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর পরিবারের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের আত্মীয়স্বজন এবং ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। এই তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, ডিজিটাল ডিভাইস এবং সন্দীপ এবং তাঁর স্ত্রীর নামে কলকাতায় ৩টি ফ্ল্যাট, ২টি বাড়ি, মুর্শিদাবাদে ১টি ফ্ল্যাট এবং একটি ফার্মহাউসের মালিকানা সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালে একজন মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের নাম জড়িত হওয়ায় তিনি জনসাধারণের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ জেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আদালত আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।