জি বাংলার ( Zee Bangla ) ফুলকি ধারাবাহিকের একটি জনপ্রিয় ট্র্যাক হল দেবদাস মাইতিকে ধরার চেষ্টা। ফুলকি এবং রোহিতের দলবল লালকুঠি সহ একাধিক জায়গায় তাকে খুঁজতে গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই ঈশিতার মাধ্যমে রুদ্র তাদের এক ধাপ এগিয়ে ছিল। সে দেবদাসকে আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিত। অন্যদিকে, রুদ্র জেঠু মনির বিরোধীদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সকলকে অবাক করে দিয়েছিল। বিশেষ করে লাবু এই ঘটনায় অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছিল।
ফুলকি আজকের পর্ব ১৭ সেপ্টেম্বর/phulki today full episode 17 September-
ধারাবাহিকের শুরুতেই রুদ্র একটা সংবাদ সম্মেলন করেছিল। মৃন্ময় ও অভিজিৎ বাবু সেখানে এসেছিলেন। মৃন্ময় বলল, “আজকে যা বলার, রুদ্র বলবে।”রুদ্র তখন বলে, ভগবানপুরে উড়ালপুল ভেঙে যাওয়ার যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটার জন্য আমি সত্যি খুব দুঃখিত। এরকম ঘটনা না ঘটলেই হয়ত ভালো হয়। কিন্তু আমাদের জীবনে অ্যাক্সিডেন্ট ঘটেই চলেছে। কোনও না কোনও জায়গায় হয়ত এভাবেই অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে চলেছে তার জন্য কাউকেই দায়ী করা যায় না। তবে আমরা মানুষ, আমাদেরকে এগিয়ে যেতেই হয় আমি ঠিক করেছি, যারা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।
এটা শোনার পর রোহিত, ফুলকি, লাবু রীতিমতো চমকে যায়। ফুলকি বলে, এটা আমি কি শুনলাম মা কালী? না না এটা হতে পারে না। সবাই যদি দু লক্ষ টাকা পেয়ে যায়, তাহলে তো সবাই প্রশ্ন করা ভুলে যাবে, কার জন্য এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল? এই ঘটনার দায় কার? সেসব মনেই রাখবে না। জামাইবাবু ইচ্ছে করে এটা করল, যাতে আসল অপরাধীর নাম ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু আমি তো হাল ছাড়ব না। আমাকে জীবনে ঠিকঠাক ভাবে এগিয়ে যেতে হবে যারা আসল অপরাধী তাদের আমি ধরবো এবং উচিত শিক্ষা দেব।
রুদ্রর আকস্মিক সাংবাদিক বৈঠক সকলকে চমকে দিয়েছিল। ফুলকি, রোহিত, লাবু সবাই নিরাশ হয়ে রায়চৌধুরী বাড়িতে ফিরে আসে। লাবু মনে মনে ভাবতে থাকে এই ঘটনাটা আসলে ভালো নাকি খারাপ। সে রোহিতকে বলে, “ভাই, রুদ্রর এত রূপ দেখেছি যে এখন ওর কোনো নতুন রূপ আমাকে আর অবাক করে না।” ফুলকি রোহিতের দিকে তাকিয়ে বলল, “স্যার, আপনি কি ভাবেন জামাইবাবু কেন এমন করেছে? হয়তো আসল অপরাধীর নাম প্রকাশ হলে জামাইবাবু নিজে ফেঁসে যেতে পারে।”
আরও পড়ুন : আদৃতের অনুরাগীদের জন্য একটি সুখবর, তাদের প্রিয় অভিনেতা সিদ্ধার্থ আবারও পর্দায় দেখা যাবে
এরপর দেখা যায় অংশুমান পারমিতাকে নিয়ে ফিরে আসে। পারমিতাকে সব কথা বলে ফুলকি। ওদিকে রুদ্র ভাবতে থাকে, আসল অপরাধীর নাম এইবার সবাই ভুলে যাবে! অংশুমান তখন ফুলকিকে বলে আমি তোমার অবস্থা বুঝতে পারছি ফুলকি, কিন্তু আমি কী করবো বলো? থানায় ইতিমধ্যেই চাপ আসা শুরু হয়েছে। এই তদন্ত আর বেশি দূর এগোনো যাবে না। এইভাবে উপরমহল থেকে চাপ এলে আর কিছুই করা সম্ভব না। এরপর অংশু বলে, দেবদাস মাইতিকে রুদ্র কোথায় লুকিয়ে রেখেছে সেটা জানা গেলে অনেকটা সাহায্য হত কিন্তু সেটাও তো আমরা জানতে পারছি না।
ঈশিতা চোখ বুজে কান পেতে শুনছিল। ফুলকি তাকে এই অবস্থায় দেখে হঠাৎ করেই সব বুঝে গেল। এরপর, ধানু চালকের মতো করে ঈশিতার ফোনের কভারটা নিয়ে গেল। সে বলেছিল, “এই কভারটা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে, একটা নতুন কিনব তোর জন্য।” কিন্তু আসল কথাটা ছিল অন্য। ফুলকি, অংশুমান আর বাকিরা মিলে পরিকল্পনা করেছিল ঈশিতার ফোনটা চুরি করে রুদ্রকে ফোন করে দেবদাসের whereabouts জানবে।