জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল কোন গোপনে মন ভেসেছে ( kon gopone mon veseche )। অহনার আচরণ অনিকেতকে তার সত্যিকারের চরিত্র সম্পর্কে বারবার সতর্ক করে দিচ্ছে। অনিকেতের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও, অহনা তার দায়িত্বকে হালকাভাবে নিচ্ছে এবং নিজেকে বন্ধুদের সাথে মাতালতার জগতে আচ্ছন্ন করে রাখছে। এই সময় অনিকেতের মনে শ্যামলীর স্মৃতি জেগে ওঠে, যদিও সে নিজেই শ্যামলী এবং তার পুরনো জীবনের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে এসেছে। এই দ্বন্দ্ব অনিকেতকে মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করে তুলছে।
কোন গোপনে মন ভেসেছে আজকের পর্ব ২০ সেপ্টেম্বর/kon gopone mon veseche today full episode 20 September-
আজকের পর্বে মন্দারকে অফিসের মেয়েরা কফি বানানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। মন্দার কিভাবে কফি বানাবে, সে ভাবতে ভাবতে মেয়েদের সাথে গল্প করছিল। হঠাৎ করে সে রোহিনীকে এক হাতে খাড়া, অন্য হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। রোহিনী শ্যামলীকে ঘুরিয়ে বলে, “দেখ, এরা কফি খেতে চায়!” শ্যামলী এই দৃশ্য দেখে মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলল, “দেখুন, আপনারা সবসময় ক্যান্টিনে আসবেন না। খাওয়ার সময় শুধু আসুন।”
শ্যামলী আরও বলে সব সময় হাতে কফি করে দেওয়া সম্ভব নয় মেশিনের কফি খেতে হবে আর সবসময় ক্যান্টিনে এলে আপনাদের নতুন যে স্যার এসেছেন না অনিকেত মল্লিক তিনি কিন্তু রেগে যাবেন। মেয়েগুলো তখন ভয় পেয়ে যায়। ওদিকে অনিকেত শ্যামলীর কাছে এসে বলে, ব্যাপারটা কী? আপনি এইসব ব্রেকফাস্ট বানিয়ে আমার টেবিলে কেন রেখে এসেছেন? আমি খাব না। আপনি কি এভাবে আমার সাথে যোগাযোগ রাখতে চাইছেন? শ্যামলী তখন বলে, আপনি তো খাবারটা খেয়ে নিলেই পারতেন তা না করে এখানে আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন তাই না?
আরও পড়ুন : রুদ্রের ভুলের সুযোগে ফুলকি তাকে কি জব্দ করবে! রুদ্রের হাতে জোরালো প্রমান!
অনিকেত বলে, আমি যে বাড়ি থেকে চলে এসেছি সেই বাড়ির কারোর সাথে আমি যোগাযোগ রাখতে চাই না। তাই আপনার দেওয়া খাবার আমি কিছুতেই মুখে তুলব না। শ্যামলী বলে, আপনার সম্পর্কগুলো সব ওখানেই পড়ে আছে ওখানে আপনাকে ফিরতেই হবে। এরপর অনিকেত নিজের রুমে চলে যায় সেখানে অনন্যা আসে! অনন্যা অনিকেতকে বলে তুমি ব্রেকফাস্টটা করে নাও তারপর আমরা মিটিং করব। অনিকেত বলে না আমি ব্রেকফাস্ট করব না, এখনই মিটিং শুরু করতে পারো। ওদিকে অনন্যা অনিকেতের ব্রেকফাস্ট থেকে খাবার খেতে শুরু করে এবং বলে কি হেলদি ব্রেকফাস্ট কোন রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার করেছো। ”
অনিকেতের কণ্ঠে একটু বিষাদ ছিল, “এই খাবারটা তো ক্যান্টিন থেকেই দেওয়া হয়েছে।” সে মনে মনে শ্যামলীর হেলদি খাবারের কথা ভাবতে থাকল। কেমন যেন একটা শূন্যতা তাকে গ্রাস করছিল। এখন সবকিছু এতটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে যে সে আর কিছুই করতে পারছিল না। সব মেনে নিতে হচ্ছিল।
শ্যামলী চুলা থেকে নামিয়ে রাখা মাংস দেখে হঠাৎ ফোন বেজে উঠল। সূর্য তার কাছে অফিসে আসার অনুরোধ করল। মন্দারকে পাঠিয়ে দিতে বলে সে দ্রুত তিনজনকে পাঠিয়ে দিল।
আরও পড়ুন : জি বাংলাকে পিছনে ফেলে ‘জলসা’ টিআরপিতে নতুন উচ্চতা
ওদিকে শ্যামলীর তো আজকে নিরামিষ, সেই কারণে শ্যামলী খাবারটা টেস্ট করতে পারবে না, তাই সে আন্দাজে রান্না করতে থাকে। অন্যদিকে সংযুক্তা মনে মনে ভাবে, আমি কিছুতেই তোমাকে এখানে পাকাপাকিভাবে থাকতে দেবো না, এখানে রান্না করবে আমার বয়ফ্রেন্ড। এরপর শ্যামলীর আড়ালে সংযুক্তা পুরো খাবারে নুন মিশিয়ে দেয়। মন্দার তার সাথের সঙ্গে দুজনকে নিয়ে ক্যান্টিনে ফিরে এলে, একজন ছেলে খাবারটা টেস্ট করে বুঝতে পারে খাবারটা পুরো নুনে পোড়া।
ছেলেটির কথা শুনে অনিকেত বুঝতে পারল যে সে এই জটিল পরিস্থিতি থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে পারবে না। যদিও সে মুখে বলে যে সে এই ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, তবুও শ্যামলীর জন্য তার মনে একটা উদ্বেগ কাজ করছিল। শ্যামলী যখন ভার্গবী ম্যাডামের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন অনিকেত তার কাছে একটা চিঠি পাঠালো। চিঠিতে সে অদ্ভুত একটা বার্তা দিয়ে শ্যামলীকে মাংসের নুনের কথা মনে করিয়ে দিল। শ্যামলী চিঠি পেয়ে অবাক হয়ে গেল কারণ সে নিজে মনে করেছিল যে মাংসে নুনের পরিমাণ ঠিক আছে। অনিকেতের এই আচরণ দেখে শ্যামলী কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল এবং তার মনে একটা প্রশ্ন জাগল যে, অনিকেত আসলে কী বলতে চাচ্ছে?