মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদের চাকরিপ্রার্থীদের মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি অমৃতা সিনহা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “২০১০ সালের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে এত দেরি হওয়ার কারণ কি? কারচুপি করতে এত সময় লাগে?”
সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে রায় প্রকাশের জন্য উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে, বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগামী দুই দিনের মধ্যে রায় প্রকাশের জন্য পুনঃনির্দেশ দিয়েছেন।
ডিভিশন বেঞ্চের আগের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে, বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলার রায় আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রকাশের জন্য জোর দিয়েছেন।
দশ বছর আগের একটি পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রকাশিত না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কমিশনকে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র দুই দিন বাকি, তবুও কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়নি।
হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি! দশ বছর ধরে আটকে থাকা নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ না করেই গত ৫ অগস্ট গ্রুপ ডি পদে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চাকরি প্রার্থীরা আবার হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
“মঙ্গলবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা একটি মামলার শুনানি করার সময় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘একটি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে কমিশনকে ১৪ বছর সময় কীভাবে লাগতে পারে? এত দীর্ঘ সময় ধরে ফলাফল আটকে রাখার পিছনে কারচুপি ছাড়া আর কি হতে পারে?’ বিচারপতির এই মন্তব্যে আদালতে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে পড়েন।”
আরও পড়ুন : কর্মচারীদের ঘুম উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করছে
আদালতের নির্দেশ: তিন হাজার শূন্যপদের জন্য এক লক্ষ প্রার্থীর পরীক্ষা হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, কমিশনকে আর্থিক লাভের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে, আগামী শুক্রবারের আগে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। আদালতের মতে, প্রার্থীদের বক্তব্য শোনার আগে ফলাফল প্রকাশ করা উচিত।
বিচারপতির নির্দেশ: এক লক্ষ প্রার্থীর পরীক্ষায় বসে কমিশন যথেষ্ট আর্থিক লাভ করেছে। বিচারপতি এই বিষয়টি উল্লেখ করে কমিশনকে আগামী শুক্রবারের আগে ফলাফল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, প্রার্থীদের অধিকার রক্ষার জন্য ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করা উচিত।