আর জি কর ইস্যুতে চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা দফায় দফায় প্রতিবাদে সরব হওয়ায় এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সরকারি কর্মীরাও এই আন্দোলনে যোগ দিলে, রাজ্য সরকার কর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি জারি করেছে এবং নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। “গত শনিবার রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সরকারি কাজ এবার থেকে আর ধীরগতিতে চলবে না। নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং জনসাধারণকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ আরও দ্রুত গতিতে করতে হবে। সরকারের সকল কাজ এবং প্রকল্প যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।”
সরকারি কর্মচারীদের অফিসে অনুপস্থিত থাকা বা কাজে ফাঁকি দেওয়া একেবারে বন্ধ হবে। যারা এই নিয়ম ভাঙবেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত চার মাসে সরকারি কার্যালয়গুলিতে কাজের গতি অনেক ধীর হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের কারণে কর্মচারীরা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় নতুন করে দুই সপ্তাহ সময় চাইল সুপ্রিম কোর্ট
সরকারের সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী, সকলকে সক্রিয়ভাবে কাজে ফিরিয়ে পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি, গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আবাসন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পানীয় জল সরবরাহের মতো প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, প্রান্তিক ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর সরকারি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা করা যাবে না।
আর জি কর কাণ্ডের জেরে সরকারি প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে যে ফাটল তৈরি হয়েছে, তা মেরামত করার চেষ্টায় সরকার নতুন করে সক্রিয় হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের কাজে জোর দেওয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের সেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, একাংশের মতে, এই পদক্ষেপ আন্দোলনকে দমন করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।