অহনার আসল চেহারা দেখে অনিকেত হতবাক হয়ে গেল। এবার সে কি শ্যামলীর কাছে ফিরে যাবে?

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল কোন গোপনে মন ভেসেছে ( Kon Gopone Mon Vesechhe )। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় অনিকেতের সাহায্যে শ্যামলী যেন অফিসের প্রথম দিনেই এক বড়সড় বিপর্যয় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নিল। তার রান্না সবার মুখে জল এনে দিয়েছিল। কাজটাও যেন তাদের হাতে হাতে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্যামলীর মন কেন যেন শান্ত হচ্ছিল না। সে ভাবতে ভাবতে পাগল হয়ে যাচ্ছিল, সে এত বড় ভুল কী করে করে ফেলেছে? খাবারে তো সে নুন কম দিয়েছিল, এত প্রশংসা পাওয়ার মতো কিছু তো সে রান্না করেনি!

কোন গোপনে মন ভেসেছে আজকের পর্ব ২৩ সেপ্টেম্বর/kon gopone mon veseche today full episode 23 September-

 

পর্বের শুরুতেই মন্দার শ্যামলীকে কটাক্ষ করে। রান্না নিয়ে তাকে অপমান করে মন্দা বলে, “তুই এত মন দিয়ে রান্নাটা করলি, কার এত দরদ উঠলে উঠল বলতো যে, রান্নায় এতখানি নুন ফেলে দিল?” শ্যামলী কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হলেও স্বীকার করে যে, তারও মনে হচ্ছে রান্নাটা খুব বেশি নুন হয়ে গেছে। কিন্তু সে নিশ্চিত যে, এত নুনের জন্য রান্না পুরোপুরি পুড়ে যেতে পারে না। সে ভাবে, সে হয়তো প্রথম দিনেই অন্যদের শত্রু করে ফেলল। অন্যদিকে সুদর্শনা অবাক হয়ে ভাবতে থাকে যে, শ্যামলী এত তাড়াতাড়ি সব কিছু ঠিক করে ফেলল কী করে।

সুদর্শনাকে তার এক সহকর্মী জানাল যে ক্যান্টিনের খাবার খুব ভালো হয়েছে এবং নতুন কোম্পানির টেন্ডার ফাইনাল হয়ে গেছে। এর মানে হল সুদর্শনার বয়ফ্রেন্ডের কোম্পানির টেন্ডার পাওয়া যাবে না। একইসঙ্গে, অনন্যা ম্যাম সবাইকে বিশ্বকর্মা পুজোর কার্ড বিতরণ করতে বললেন, এমনকি নতুন যোগদানকারী শ্যামলীদেরও। এই আচরণে সুদর্শনা খুব রাগ করল কারণ শ্যামলীদের অফিসে এত ভালো ব্যবহার করা হচ্ছে।

অন্যদিকে অফিসে বসে এক মনে কাজ করছে অনিকেত। সেই সময় তীর্থঙ্কর বলে, যদি কাজের ক্ষেত্রে কোন‌ও রকম সাহায্য লাগে তাহলে বলতে পারেন! অনিকেত তখন বলে, না এই কাজটা একটু গোপনীয়! তীর্থঙ্কর বলে, এই তো অফিসে এলেন? এর মধ্যেই কাজের গোপনীয়তা শুরু? অনিকেত বলে, নাহ, সেরকম কিছু নয়, আমি আসলে কাজটা নিজের মতো করে করতে চাইছি! তীর্থঙ্করের বিষয়টা ভালো লাগে না। অন্যদিকে অনিকেত ভাবতে থাকে, এক কাপ কফি হলে ভালো হতো কিন্তু যেহেতু শ্যামলী আছে তাই সে গিয়ে চাইতে পারে না।

আরও পড়ুন : রুদ্রের আবির্ভাব পিয়াল ও পায়েলের প্রেমের সম্পর্ককে বিষাক্ত কাঁটা হয়ে দাঁড়াল। ফুলকি কি এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে পিয়ালকে উদ্ধার করতে পারবে

অন্যদিকে অনিকেত কাজ করছে দেখে শ্যামলী অনিকেতকে কফি দিয়ে আসে, অনিকেত তখন বলে আমি কী আপনাকে চেয়েছি? শ্যামলী বলে আজকে আপনি আমাদের সাহায্য করেছেন, তাই আমাদের তরফ থেকে এটা একটা সামান্য উপহার, আপনার জন্য আমি এনেছি, আপনার মন হলে খাবেন, না মন হলে খাবেন না। অন্যদিকে অফিসের সিকিউরিটি গার্ড অনিকেতের ঘরের দিকে নজর রাখলে মন্দার সেটা ধরে ফেলে। শ্যামলী বেরিয়ে এলে মন্দারের সাথে হাসাহাসি করতে থাকে অনিকেত তখন বলে এই মন্দারের সাথে মিশেই আপনার এরকম হয়েছে!

মন্দারের হাতে ধরা মোচাটি অপরাজিতার হাতে তুলে দেওয়ার সাথে সাথে তার মুখে রাগের ছায়া নেমে আসে। শ্যামলী বাড়িতে ফিরে অফিসের সব ঘটনা মায়ের কাছে বর্ণনা করে। অনিকেতের বাবা শ্যামলীর দুঃখ দেখে তার অফিসে যাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন। শ্যামলী বলেন, তার আর নতুন করে কোনো কষ্ট নেই। তখন অনিকেতের বাবা বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে অফিসে খিচুড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার মুখে হাসি ফোটান। অন্যদিকে, অনিকেত বাড়িতে এসে দেখে অহনা আবারও আয়োজন করে পার্টিতে মেতে উঠেছে।

অনিকেতের প্রশ্নের জবাবে অহনার চোখে এক আশ্চর্য জ্যোতি জ্বলে উঠল। “তোমাকে সারপ্রাইজ দেবো বলেই,” সে উত্তর দিল। কিন্তু অনিকেতের মনে একটা খালিপন ছড়িয়ে পড়ল। সে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নিজেকে একাকী করে ফেলল। বুঝতে পারল, অহনাকে ভালোবাসা তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। এবার সে কি তার ভুলের শাস্তি পাবে?

Leave a Comment